‘পারস্যের প্রতিভা বিশ্বের গর্ব’ শীর্ষক এই ধারাবাহিকে আমরা এমন সব মহান ইরানি ব্যক্তিত্বদের পরিচয় তুলে ধরব যাদের কবর ইরানের বর্তমান সীমান্তের বাইরে অবস্থিত। এই ব্যক্তিত্বদের চিন্তাধারা ও অবদানের প্রভাব ইরানের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে। তাই তাঁরা কেবল ইরানের নন, বরং গোটা বিশ্ব-সভ্যতারই সম্পদ ও ঐতিহ্য। যেমন, মাওলানা রূমি, নিজামি গাঞ্জাভি, শেইখ শাহাবুদ্দিন সোহরাওয়ার্দি, আবু রায়হান বিরুনি ও খাজা নাসিরউদ্দিন তুসি প্রমুখ বিখ্যাত ইরানি মনীষীর চিন্তাধারার কাছে বিশ্ব-সভ্যতা ঋণী। আজও মানবজাতি তাদের রেখে-যাওয়া জ্ঞানের ঝর্ণাধারা থেকে উপকৃত হচ্ছে।
August 27, 2023
3 Tracks
00:00
1X
- ইরানি সভ্যতা ৫ হাজার বছরেরও পুরোনো। এমনকি আদিম বা প্রাচীনতম যুগের মানুষেরা ইরান অঞ্চলেই বসবাস করত বলে অনেকেই মনে করেন। তাদের হাতে গড়ে উঠেছিল গ্রাম্য-বসতি। প্রাচীন যুগে ইরানিদের বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বের নেতৃস্থানীয় হওয়ার বিষয়টিও সভ্যতার অন্যতম নিয়ামক। এইসব বিষয়ের নানা নিদর্শন ও স্মৃতি-চিহ্ন এখনও টিকে রয়েছে।ক্রুসেডের যুদ্ধগুলো মুসলমানদের জন্য ব্যাপক ক্ষতি বয়ে এনেছিল।[...]
- বিশ্বসভ্যতায় ইরানের প্রভাব ও অবদানকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত: নানা দেশের ভৌগোলিক গণ্ডিতে প্রত্যক্ষ শাসনের ফলে সৃষ্ট প্রভাব। দ্বিতীয়ত: ইরানি মনীষীদের মাধ্যমে বিশ্বের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রভাব বা অবদান রাখা যার কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক বা সময়ের সীমারেখা নেই। অনেকের মতে, ইরানের প্রাচীন যুগের হাখামানেশিয় সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের প্রথম বৃহৎ সাম্রাজ্য। ইরান এক হাজার একশত বছরেরও[...]
- মদ ও পারসিকরা ইরান অঞ্চলে আসার পর প্রচলিত মূল ধারার বিপরীতে স্থানীয়দের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং তাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ধারা গড়ে তোলে। তাখতে জামশিদ বা পার্সিপোলিসে যেসব প্রস্তরলিপি ও মাটির পাত্র এবং শিলালিপি পাওয়া গেছে সেসব থেকে বোঝা যায় হাখামানেশীয় সাম্রাজ্য ছিল এক উন্নত সভ্যতার অধিকারী। এই সাম্রাজ্য সিরিয়ার উপকূল থেকে ভারত[...]
Available now on: